ই-পেপার শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

শনাক্তের হার ৬ শতাংশের নিচে নামল
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ফের বাড়তে পারে বিপদ
প্রকাশ: শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:৪৩ এএম  (ভিজিট : ২২৬)
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমছে। দীর্ঘ ছয় মাস পর শনাক্তের হার নেমে এসেছে ৬ শতাংশের নিচে। বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ হারে রোগী শনাক্ত হয়েছে। এটা আমাদের সবার জন্য একটি স্বস্তির খবর। এর আগে গত ১১ মার্চ বৃহস্পতিবারের চেয়ে কম ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হারে রোগী পাওয়া গিয়েছিল। আগের দিন বুধবার শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। করোনাভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর গত জুলাই মাসজুড়ে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের আশপাশে ছিল। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। গত তিন সপ্তাহ ধরে শনাক্তের হার আরও কমে ১০ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন শনাক্তের হার পাওয়া গেছে গত এক দিনের নমুনা পরীক্ষায়। সব মিলিয়ে দেশে বর্তমানে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা করে জানা গেছে, গত এক দিনে শনাক্ত কিছুটা কমলেও একই আছে দৈনিক মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ৫১ জন। আগের দিন বুধবারও ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছিল করোনা সংক্রমিত হয়ে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ১০৯ জনে পৌঁছাল। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৮৬২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯০১ জন। দেশে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২০৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো। এর বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত আরও ৩ হাজার ৫৪৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। আগের দিন বুধবার সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮৭৩। এর মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমিত মোট ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ জন সুস্থ হয়েছে।

করোনায় বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির পরও সঙ্কট কাটিয়ে নতুন ছন্দে জীবন সাজানোর চেষ্টা করছে মানুষ। এ ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশে টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে এবং টিকাদান কর্মসূচি চলছে। ইতোমধ্যেই টিকার সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে বিশ্ববাসী। বিশ্বজুড়ে টিকা কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিকেই দেশে এ কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে সরকার, এটি নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে বর্তমানে দেশে স্বাস্থ্যবিধি নানাভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। আমাদের সবারই মনে রাখা দরকার,

আর্থ-সামাজিক প্রয়োজনে লকডাউন প্রত্যাহার করা হলেও করোনা মহামারি দেশ থেকে নির্মূল হয়নি। আমরা এখনও প্রাণঘাতী করোনা মহামারির মধ্যেই রয়েছি। কিন্তু রাস্তাঘাট ও অফিস-আদালতে মানুষ এতটাই বেপরোয়া, দেখে মনেই হয় না বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও মহামারি চলছে, প্রতিদিন অনেক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এবং অনেকে মারা যাচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় টিকা নেওয়া। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করা এবং কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার বিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জনস্বাস্থ্যবিদদের মতো আমরাও মনে করি, টিকা নেওয়ার পাশাপাশি আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় করোনার সংক্রমণ আবার বাড়বে। সেসঙ্গে বাড়বে মৃত্যুঝুঁকি। তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সবার আরও সচেতন হওয়া জরুরি।




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close