ই-পেপার শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

তাড়াশে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
প্রকাশ: শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৪৪ পিএম  (ভিজিট : ৩০৯)
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দোবিলা ইসলামপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার ও এতিমখানার পরিচালক মো. আবু বক্কার সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন দেবীপুর গ্রামের আয়নাল হক, নুরুল ইসলাম, আব্দুল খালেকসহ এলাকাবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দোবিলা ইসলামপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার মো. আবু বক্কার সিদ্দিক ২০২০ সালের ডিসেম্বরে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কম্পিউটার অপারেটর পদে সুকৌশলে মাদ্রাসা সুপার পদে তার নিজের ছেলে নাইম সিদ্দিককে চাকরিতে নিয়োগ দেন। এ ছাড়া দেবীপুর গ্রামের মৃত কোবাদ হোসেনের ছেলে জহুরুল ইসলামকে নিরাপত্তা প্রহরী পদে ও আয়া পদে দেবীপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগমকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি বিধি অনুযায়ী নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদের সর্বসাকল্য বয়স ৩৫ বছর।

কিন্তু বয়স জালিয়াতি করে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। জানা গেছে নিরাপত্তা প্রহরী জহুরুল ইসলামের যোগদানের তারিখ পর্যন্ত সঠিক এনআইডি কার্ড অনুযায়ী তার বয়স ৩৭ বছর ৪ মাস ২১ দিন ও আয়া পদে মমতাজ বেগমের বয়স ৩৫ বছর ৭ মাস ২৯ দিন।

আয়নাল হক, নুরুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক জানান, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন ও সুপার আবু বক্কার সিদ্দিক নিয়মবহির্ভূতভাবে তড়িঘড়ি করে ৩৫-৪০ মিনিটের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করে ফলাফল জানিয়ে দেন। এতে উপযুক্ত কয়েকজন প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগে নিজের ছেলে নাইম সিদ্দিককে নির্বাচিত করা হয়। এ ছাড়া মাদ্রাসাপড়ুয়া ছাত্রদের জীবিত অভিভাবকদের মৃত দেখিয়ে এতিমদের ভুয়া তালিকা তৈরি করে দোবিলা ইসলামপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, মসজিদ সংলগ্ন এতিমখানার পরিচালক ও মাদ্রাসার সুপার মো. আবু বক্কার সিদ্দিক এতিমদের খাবার এবং পোশাক বাবদ আসা লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুয়া তালিকায় থাকা ছাত্রদের জীবিত অভিভাবকরা।

দেবীপুর গ্রামের আব্দুস সালাম জানান, তার ছেলে মো. খাদেমুল ইসলাম দোবিলা ইসলামপুর মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় সুপার তাকে মৃত দেখিয়ে ছেলেকে এতিম শিশু হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। একই গ্রামের তজিম উদ্দিন, কালীদাসনীলি গ্রামের ফারুক হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও হাবিবুর রহমানকে মৃত দেখিয়ে তাদের মাদ্রাসাপড়ুয়া ছেলেদের এতিম শিশু দেখিয়ে অনুদানের লাখ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন মাদ্রাসা সুপার ও এতিমখানা কমিটির সভাপতি।

তাড়াশ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. কেএম মনিরুজ্জামান বলেন, আমি যোগদানের পর ওই এতিমখানা কোনো অনুদান পায়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দোবিলা ইসলামপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার মো. আবু বক্কার সিদ্দিক জানান, তাদের বয়সের সমস্যা ছিল। এখন বেতন-ভাতা সবই পাচ্ছেন তারা। তাই বয়স সংশোধন করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আর এতিমখানার বিষয়ে লেখালেখি করতে অনুরোধ জানান তিনি।

তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এমন একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

/জেডও/




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close