মাস্ক সুরক্ষিত কি না জানবেন যেভাবে
সময়ের আলো ডেস্ক
|
![]() বাজারে এখন বাহারি মাস্ক পাওয়া যায়। বর্তমানে মাস্ক অনেকটা ফ্যাশনের অনুসঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে মাস্ক ব্যবহারের উদ্দেশ্য কিন্তু নিজে সুরক্ষিত থাকা। এজন্য মাস্কের কার্যকারিতা নিশ্চিত হতে চাই মাস্কের পরীক্ষা। আপনি যে মাস্কটি ব্যবহার করছেন সেটি কতটা কার্যকরী, সেটা জানবেন যেভাবে। আলোর মাধ্যমে পরীক্ষা করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিকের ভ্যাকসিন রিসার্চ গ্রুপের পরিচালক ডা. গ্রেগরি পোল্যান্ড এক সাক্ষাৎকারে বলেন, একটি মাস্ক আলোর সামনে ধরলে সেটা কতটুকু ভাইরাস আটকাতে সক্ষম তা বোঝা সম্ভব। আলোর উৎস হতে পারে মোমবাতি, টর্চ লাইট, সূর্যের আলো ইত্যাদি। আলোর সামনে ধরলে যদি মাস্কের এপাশ-ওপাশ পরিষ্কার বা আবছাও দেখা যায়; তা হলে বুঝবেন ওই মাস্ক কোনো কাজের নয়। বাতাসের মাধ্যমেও পরীক্ষা করতে পারেন মাস্ক। এজন্য দরকার মাস্ক আর জ্বলন্ত মোমবাতি। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক বিল নায় এই পরীক্ষাটি জনপ্রিয় করে তোলেন। মুখে মাস্ক পরা অবস্থায় যদি ফুঁ দিয়ে জ্বলন্ত মোমবাতি নেভানো যায় তা হলে বুঝবেন সেটি কাজের নয়। করোনাভাইরাস এখন বাতাসে মিশে থাকতে পারে। একেবারেই তরল কণার মাধ্যমেও এই ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে। তাই আপনার মাস্কটি ভাইরাসের সূক্ষ্ম কণা আটকাতে পারে কি না তা পরীক্ষা করতে পারেন পানির মাধ্যমে। মাস্ক যদি পানি শোষণ করে তবে মানুষের মুখ-মিশ্রিত লালা কণাও মাস্কে শোষিত হবে, সেই সঙ্গে ভাইরাসও। ফলে মাস্ক হতে পারে সংক্রমণের মাধ্যম। আপনি যে ধরনের মাস্কই ব্যবহার করুন না, অবশ্যই সেটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে এই তিনটি পরীক্ষা ঘরেই করতে পারেন। এমনটাই নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। সেই সঙ্গে একই মাস্ক প্রতিদিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য নিয়মিত মাস্ক পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে বের হলে ২-৩ পরতের মাস্ক ব্যবহার করুন। যে মাস্কটি ব্যবহার করছেন, সেটি যেন অবশ্যই মুখের সঙ্গে ফিটিং হয় এবং এতে যেন কোনো ছিদ্র না থাকে। /এমএইচ/
|